মধ্যবিত্ত এটা আমাদের বড় পরিচয়।
সোনার চামচ মুখে
নিয়ে আমি
জন্মাইনি। আমি চাইলেই মানিব্যাগ
থেকে
একের পর এক
হাজার টাকার নোট
বের
করে খরচ করতে পারি না। কারণ এই
টাকার
মাঝে রক্ত আছে।
আমার বাবার
রক্ত পানি করা টাকা
.
আমি DSLR কেনার কথা ভাবতে
পারিনা।
কারণ DSLR
কেনার টাকা দিয়ে
আমার
পরিবারের বাকি
সদস্যদের ভরণপোষণ করা
সম্ভব ।
.
আমি চাইলেই মোটর
বাইক কিনতে
পারিনা। বড়জোর একটা বাইসাইকেল
কিনতে পারবো। কারণ
মোটরবাইকের
তেল আমার বাবার
রক্ত জল করা পানির
সাথে কখনো মিশবে না ।
.
আমি চাইলেই দামি
মোবাইল কিনতে
পারিনা।
সামান্য নকিয়া ফোনের বাটন
টেপার শব্দ আর টর্চ
লাইট
আমাকে মনে করিয়ে
দেয় যে আমি মধ্যবিত্ত!
. আমি চাইলেই মাসে
মাসে ইজি/ওয়ান
ম্যান/দর্জি
বাড়ীর দামি দামি
জামা
কিনতে পারিনা। কারণ পরনের ঐ
ময়লা
টি-শার্টগুলো আর মাস
শেষে একটা সার্ফ
এক্সেল
আমার
মধ্যবিত্তের পরিচয় বহন করে।
.
আমি চাইলেই CNG ভাড়া
করে চলতে পারি
না. কারণ
বাসে ঝুলতে থাকা মানুষগুলোর সাথে
ঝুলতে ঝুলতে
আমার
বিবেক
আমাকে শিখিয়েছে
জীবনের মানেটা কি! .
বার্গার /পিজা
আমাদের কাছে
আভিজাত্য,রাস্তার
পাশের
পুরি/সিঙ্গারার দোকান গুলোই মনে
করিয়ে
দেয় আমরা
মধ্যবিত্ত!
.
(আমরা মধ্যবিত্ত। মাস শেষে হয়ত
টাকা
থাকে না। কলা
ভর্তা,বেগুন ভর্তা
,
আলু
ভর্তাই অমৃত খাবার লাগে তখন। কিন্তু
বিশ্বাস করেন বা
না
করেন আমরা মধ্যবিত্ত
হলেও আমাদের
মনটা অনেক অনেক
অনেক বেশি
উচ্চবিত