সেই ২০১৭ সালের রমজান মাসের কথা কাজিন এর থেকে এক মেয়ের ফোন নাম্বার নেই, তারপর মেয়েটির সাথে কথা শুরু হয়, একদিন তাকে প্রপোজ করার প্লান করি, এক শুভ দিনে এক তোড়া গোলাপ নিয়ে রেডি হই, আর বন্ধু শফিক কে সাথে নিয়ে সেই বালিকার বাড়ির দিকে রওনা দেই,সে তখন সে নীল রঙের একটা ড্রেস পড়েছিল যার কারনে তাকে নীল পরীর মত লাগছিল যাক তারপর সে তার মায়ের সাথে মার্কেটে গেল সেখানেই তাকে প্রপোজ করলাম, বোরকা আর হাই হিল পড়ায় তাকে আমার থেকেও লম্বা মনে হচ্ছিলো, এরপর বাসায় চলে আসি, এরপর
প্রায় প্রতিদিন ঈ কথা হত তার সাথে, সে তখন নবম শ্রেণীতে পড়ত, আর আমি ইন্টারমিডিয়েট ফার্স্ট ইয়ার এ, যাক কলেজ ফাঁকি দিয়ে তার সাথে দেখা করতে যেতাম, তার স্কুল ছুটির এক ঘণ্টা আগে চলে যেতাম দেখা করার জন্য, তখন কার দিনে সে একা রাস্তা পাড় হতে ভয় পেত, তাই মাঝে মধ্যে তার হাত ধরে রাস্তা পাড় করে দিতাম, রোজার ঈদ এর সময় বিজয় সিংহ দীঘির পাড়ে দেখা করি তার সাথে, একদিন তার এক আত্মীয়র বিয়েতে যাই আমার নানার বাড়ির কাছেই বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল তাই দেখা করতে গেলাম, সে কমলা রঙের একটা ড্রেস এর লাল কালো মিক্স একটা চশমা পড়েছিল, চশমা পড়ায় বেশি ভালো লাগছে না বলায়, সে রাগ করে চশমাটা পাশের ধান খেতে ছুড়ে ফেলে এবং বাড়ির ভিতরে চলে যায়, চশমা টা ক্ষেত থেকে তুলে নিয়ে ধুয়ে অনেকক্ষন তার জন্য অপেক্ষা করি, কিন্তু সে আসে নাই, পরে আমি চশমাটা নিয়ে বাড়িতে চলে যাই, আজ দুই বছর চশমাটা আমার টেবিলের ড্রয়ারেএ পড়ে আছে। যাক এরপর অনেক দিন কথা হয় নি, কয়েক মাস পর তার জন্ম দিনের সময় তাকে শুভেচ্ছা জানাই, কিন্তু সে ফ্যামিলি প্রবলেম দেখিয়ে বলে যে পিকু তুমি আমাকে আর কখনো কল করবেনা ভুলে যাও আমাকে, সে দিন আমি খুব কান্না করি তার জন্য , দীর্ঘ ছয় মাসের প্রেম কেমনে ভুলি, এর প্রায় কয়েক মাস মনমরা ছিলাম আমি, এর পর আর কারো সাথে সম্পর্কে জরাই নি, মন তো একজনে কে ঈ ভালবাসত, এখন ২০১৯ সাল কিন্তু এখনও ভুলি নি তাকে, জানিনা ভবিষ্যতে বউ হিসেবে কাকে পাব ? তবুও বলছি সেই মেয়েটা কে কখনো ভুলতে পারব না,
যাক অনেক কিছুই লিখলাম, ভালো থাকবেন সবাই, আর আমার জন্য দোয়া করবেন,
বিদায় আমি (পিকু)
বিদায় আমি (পিকু)
Post a Comment